অধ্যক্ষ বাণী – সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

principal pic

সম্মানিত অভিভাববৃন্দ ও প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম।

সৈয়দপুর নারী শিক্ষা জাগরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার লক্ষ্যে, ঐতিহ্যবাহী নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার গার্ড পাড়া, স্টেশন রোড, রেলওয়ে মাঠের পাশে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ’। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের মেধা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়টি সৈয়দপুর উপজেলার একটি অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

মেধা ও প্রতিভা নিয়ে পৃথিবীতে কেউ জন্মায় না। প্রতিভা ও মেধার বিকাশ ঘটাতে হয়। জন্ম নিলেই মানুষ মানুষ হয় না, মনুষ্যত্ব দিয়ে তাকে মানুষ বানাতে হয়। পিতামাতা হলো সন্তানদের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম অধ্যাপক এবং পরিবারই হলো সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো মেধা ও প্রতিভা বিকাশের অন্যতম স্থান। সেই বিকাশের অন্যতম কারিগর হল শিক্ষক।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান বিজ্ঞান, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার কল্যাণেই মনুষ্যত্ব ও মেধার সম্প্রসারণ ঘটে। আর মেধার সম্প্রসারণ ঘটাতে পারলেই জাগরণ ঘটে একটি জাতির। একটি দেশকে উন্নতির শিখরে পৌছাতে হলে জাতিকে গড়ে তুলতে হবে শিক্ষিত করে।

সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটেছে শিক্ষাক্ষেত্রেও। বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের ফলে প্রযুক্তি আজ আকাশছোঁয়া। একবিংশ শতাব্দীর বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধতা গড়ে তোলা। এরই আলোকে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল স্বপ্ন বাস্তবায়নে সৈয়দপুর উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ পরিবারও বদ্ধপরিকর।

এছাড়া শেখ রাসেল আধুনিক ডিজিটাল ল্যাব, বিজ্ঞান ক্লাব, রোভার-স্কাউট, গালর্স গাইড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়াও খেলাধুলা ও সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রয়েছে।

আমরা জানি শিক্ষার্থীর পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য সহ পাঠক্রমিক কার্যক্রমকে নিয়মিত কার্যকর রাখতে হয়। তাই কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, জাতীয় অনুষ্ঠান সমূহের সময় সূচী ও পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে। নেতৃত্বে ও সামাজিকি করনের গুনাবলী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিকশিত হতে পারার জন্য কলেজের গার্লস-ইন-রোভার ইউনিটগুলোর সক্রিয়তায় এই সব অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। আমাদের এই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের সুব্যবস্থাপনার জন্য সার্বিক কাজকে ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। শিক্ষার গুনগত মান ও সুব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় উপদেশ ও নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন অত্র স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি জনাব মোঃ মোখছেদুল মোমিন।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস ‘সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ’ এর ছাত্রীরা অত্র স্কুল এন্ড কলেজের আধুনিক ও মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে জাতি গঠনে গরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। আমি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং আপনাদের সার্বিক সহযোগীতা ও দোয়া কামনা করছি।

ধন্যবাদান্তে

মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
অধ্যক্ষ
সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ